বর্তমান আধুনিক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় Diplomacy বা কুটনীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে শান্তির ধারণা কী?
Second Track Diplomacy; যখন দুটি রাষ্ট্রের কূটনীবিদরা সমঝােতা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়, তখন ঐ রাষ্ট্রগুলাের প্রধানরা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলােচনা করে তাকে Second Track Diplomacy বলে। Second Track Diplomacy বলতে এমন এক শ্রেণির কূটনীতিকে নির্দেশ করে যারা প্রতি অর্থে কূটনীতি নয়। এ শ্রেণির কূটনীতিক বর্গ তাদের কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত নয় কিন্তু সেসকল কার্যক্রম পরিচালনা করে থ ক। কখনাে কখনাে তাদের দপ্তরে আবার কখনাে কখনাে দপ্তরের বাইরে এসে তাদের কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকে। Second Track Diplomacy প্রথম বা Track I Diplomacy এর কাজে সহায়তা করে থাকে। তাই বলে Second Track Diplomacy প্রথম বা Track I এর সহযােগী নয়। এ শ্রেণির কূটনীতিকগণ সংঘর্ষ নিবারণের জন্য বিভিন্নভাবে তাদের দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
সাধারণভাবে Second Track Diplomacy দ্বন্দ্ব নিরসনের পেশাদার প্রচেষ্টা মাত্র। এটি একটি বেসরকারি উদ্যোগ এবং এর কাঠামােগত মিথস্ক্রিয়া হলাে, এটা সব সময় খােলা দৃঢ় সঙ্কল্প, প্রায়ই কল্যাণময় আর কৌশলগতভাবে আশাবাদী এবং সেবা ক্ষেত্রে বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে করা হয়।
পরিশেষে বলা যায় যে, Second Track Diplomacy এর অন্তর্নিহিত ভাবনাটি হলাে, এটি প্রকৃত বা সম্ভাব্য সংঘাত বা সমাধান করে থাকে, মানুষের ক্ষমতা মর্মস্পর্শী সদিচ্ছা ও যুক্তিবাদিতা দ্বারা শিথিল করে। বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় Second track Diplomacy এর উদাহরণ । Track I Diplomacy এর ভালাে বিকল্প হতে পারে Second Track Diplomacy. পররাষ্ট্রনীতিতে উভয়ের একে অপরের প্রয়ােজন।
0 Comments