বাবা সিদ্দিক হত্যার পর সালমানের বাড়িতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী অজিত পাওয়ারের দল এনসিপির নেতা বাবা সিদ্দিকের খুনের ঘটনায় মুম্বাইয়ের কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের পর বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়ির নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার রাতে লীলাবতী হাসপাতালে গিয়ে প্রয়াত বাবা সিদ্দিকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান সালমান খান। এরপর, তার বাড়ির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রোববার (১৩ অক্টোবর) বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এক সদস্যের সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া পোস্ট ভাইরাল হয়। সেই পোস্টে সালমান খানকে হুমকি দিয়ে দাবি করা হয় যে, বাবা সিদ্দিকের খুনের ঘটনায় তাদের গ্যাং জড়িত।

বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ওই পোস্টে বলা হয়েছে, "সালমান খান, আমরা এই লড়াই চাইনি। কিন্তু আপনার কারণে আমাদের একজন ভাই প্রাণ হারিয়েছে। বাবা সিদ্দিক দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে কাজ করতেন, যা তার মৃত্যুর কারণ। আমাদের কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। তবে যারা দাউদ বা সালমান খানের মতো ব্যক্তিদের সহায়তা করেন, তাদের সাবধান থাকতে হবে। আমরা আগে আক্রমণ করি না, প্রতিশোধ নিই।"

৬৬ বছর বয়সী সিদ্দিককে শনিবার দশেরার অনুষ্ঠানে গুলি করে হত্যা করা হয়। পুলিশের অভিযোগ, তিনজন দুষ্কৃতী এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়, যাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হরিয়ানার গুরমেল সিং এবং উত্তরপ্রদেশের ধরমরাজ কাশ্যপকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তৃতীয় অভিযুক্ত শিব কুমার, যিনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা, এখনও পলাতক এবং তাকে খুঁজছে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই তিনজন ছাড়াও হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী একজন রয়েছেন, যিনি নেপথ্যে থেকে এই চক্রান্তের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাকেও খুঁজছে পুলিশ।

তদন্তে জানা গেছে, সিদ্দিকের খুনের জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিল অভিযুক্তরা। তারা ভাড়া নিয়ে আশেপাশে থাকছিল এবং কাজের জন্য তাদের অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। পুরো টাকার পরিমাণ চুক্তি অনুযায়ী পরে পরিশোধ করার কথা ছিল। তিনজনই পেশাদার ভাড়াটে খুনি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই বর্তমানে জেলে থাকলেও তার গ্যাং এখনও সক্রিয়। কিছুদিন আগে সালমান খানের বাড়ির সামনে গুলিবর্ষণের ঘটনাতেও বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া, সালমানের বাবা সেলিম খানকেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সালমান খানের সঙ্গে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের দীর্ঘদিনের বিবাদ রয়েছে এবং পুলিশ খতিয়ে দেখছে যে, সিদ্দিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সেই বিবাদের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা।