Hot Posts

6/recent/ticker-posts

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রধান বৈশিষ্ঠগুলো লিখ।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রধান বৈশিষ্ট নিম্নে দেয়া হল -

১. জমিদার গণ বংশানুক্রমিক স্থায়ী ও একচ্ছত্র জমির মালিক হবে।এ নিজস্ব জমি তারা যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহার বা হস্তান্তর করতে পারবে এবং এতে সরকারি অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
২. এ বন্দোবস্তে নিয়ম করা হয় যে, জমির খাজনা চিরস্থায়ী ভাবে এবং একবারই নির্ধারিত হবে।
৩. রায়তগণ হবেন জমিদারদের অধিনস্থ প্রজা। তবে আইনে রায়তদের প্রতি সু ব্যবহার এবং রায়তের সাথে সু সম্পর্ক স্থাপনের জন্য জমিদারদের প্রতি আহবান জানানো হয়। 
৪. প্রজার সাথে তাদের দায়িত্ব অধিকার নির্ধারণে সরকারের কোন সম্মতি নিতে হবে না।
৫. চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে বিচার, পুলিশ ও শুল্ক আদায় সংক্রান্ত ক্ষমতা জমিদারদের হাতে না থেকে সরকারের হাতে ন্যস্ত থাকবে।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তঃ ১৭৯৩ সালে কর্নওয়ালিস প্রশাসন কর্তৃক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকার ও বাংলার ভূমি মালিকদের (সকল শ্রেণির জমিদার  ও স্বতন্ত্র তালুকদারদের) মধ্যে সম্পাদিত একটি স্থায়ী চুক্তি। এর প্রবক্তা লর্ড কর্নওয়ালিস। এ চুক্তির আওতায় জমিদার ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ভূ-সম্পত্তির নিরঙ্কুশ স্বত্বাধিকারী হন। জমির স্বত্বাধিকারী হওয়া ছাড়াও জমিদারগণ স্বত্বাধিকারের সুবিধার সাথে চিরস্থায়ীভাবে অপরিবর্তনীয় এক নির্ধারিত হারের রাজস্বে জমিদারিস্বত্ব লাভ করেন। চুক্তির আওতায় জমিদারদের কাছে সরকারের রাজস্ব-দাবি বৃদ্ধির পথ রুদ্ধ হয়ে গেলেও জমিদারদের তরফ থেকে প্রজাদের ওপর রাজস্বের দাবি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ আরোপিত হয় নি। জমিদারদের জমি বিক্রিয়, বন্ধক, দান ইত্যাদি উপায়ে অবাধে হস্তান্তরের অধিকার থাকলেও তাদের প্রজা বা রায়তদের সে অধিকার দেওয়া হয় নি। নিয়মিত খাজনা পরিশোধ সাপেক্ষে উত্তরাধিকারক্রমে জমির মালিক থাকার প্রথাগত অধিকার রায়তদের থাকলেও জমি হস্তান্তরের অধিকার তাদের ছিল না। সরকারের বেলায় জমিদারদের অবশ্য একটি দায়দায়িত্ব কঠোরভাবে পালনীয় ছিল। সেটি হচ্ছে নিয়মিত সরকারের রাজস্ব দাবি পরিশোধ করা। জমিদারগণকে এ মর্মে হুঁশিয়ার করে দেওয়া হয় যে, তাদের কেউ নির্ধারিত তারিখে কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে খেলাপি ব্যক্তির সকল জমি বা বকেয়া দাবি পূরণের উপযোগী জমি নিলামে বিক্রয় করা হবে।(Source -Wikipedia)

Post a Comment

0 Comments