নেপালের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য
The Features of the Constitution of 1990 of Nepal১। প্রস্তাবনা নতুন সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে- “যেহেতু আমরা উপলব্ধি করেছি যে, স্বাধীন ও সার্বভৌম নেপালে কর্তৃত্বের উৎস জনগণের মধ্যে নিহিত এবং কাজেই সময় সময় আমরা সরকার পরিচালনায় জনগণের ইচ্ছার অনুরূপ আমাদের মতামত প্রকাশের আগ্রহ প্রকাশ করেছি; সেহেতু এখন আমরা জনগণের ইচ্ছাকে সমুন্নত রেখে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ও সার্বভৌম ক্ষমতা সংবিধান কার্যকর হওয়ার পর থেকে সংবিধান অনুযায়ী কার্যকর করা হবে, আমি রাজা বীরেন্দ্র বীর বিক্রম শাহদেব, আমার উপর অর্পিত কর্তৃত্ব অনুসারে এ সংবিধান কার্যকর ও জারি করলাম।" ("Whereas we are convinced that in the independent, sovereign Nepal, the source of authority inherent in the people and therefore, have from time to time, made known our desire to conduct the government of the country in consonance with the popular will; Now therefore, keeping in view the desire of the people that the state authority and sovereign powers shall, after the commencement of this constitution, be exercised in accordance with the provisions of this constitution, I, King Birendra Bir Bikram Shah Deva, by virtue of the state authority as exercised by exact and promulgate this constitution.")
২। জটিল সংবিধানঃ নেপালের নতুন সংবিধান দীর্ঘ ও জটিল দলিল। এতে রয়েছে ১৩৩টি ধাপ যা ২৩টি অংশে বিভক্ত। এটি ৩টি তালিকা সংবলিত সংবিধান।
৩। ১ম অংশ থেকে ১১তম অংশের বর্ণনা ঃ নতুন সংবিধানের ১ম অংশ থেকে ৪র্থ অংশে (প্রারম্ভিক, নাগরিকতা, মৌলিক অধিকারসমূহ এবং রাষ্ট্রের নির্দেশক নীতিমালা) রাষ্ট্রের প্রকৃতি, সার্বভৌমত্বের স্বরূপ, নাগরিকতা, নাগরিকের অধিকার এবং এতদসংক্রান্ত নীতিমালা নিয়ে আলােচিত হয়েছে। সংবিধানের ৫ম ও ৬ষ্ঠ অংশে রাজা (His Majesty) এবং রাজপরিষদের (Council on Royal Affairs) উপর আলােচনা করা হয়েছে। ৭ম থেকে ১১তম অংশে পরকীরের তিনটি শাখা—আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগ সংক্রান্ত বিস্তারিত আলােচনা তুলে ধরা হয়েছে।
৪। ১২তম অংশ থেকে ১৮তম অংশের বর্ণনা ঃ সংবিধানের ১২তম অংশ থেকে ১৬তম
অংশ পর্যন্ত অনুসন্ধানী কমিশন (Investigative Commissions) এবং প্রশাসনিক কমিশন ও দপ্তর (Administrative Commissions and Offices) সম্পর্কে আলোচিত হয়েছে । সংবিধানের বাকি অংশগুলাে ১৭তম থেকে ২৩তম অংশ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিষয়সমূহ যেগুলাে অন্যান্য অংশে আলােচিত হয় নি সেগুলাে সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য হচ্ছে ১৭তম অংশ যাতে রাজনৈতিক দলের উল্লেখ করা হয়েছে । এ ছাড়া ১৮তম অংশে জরুরি ক্ষমতা সংক্রান্ত বিধি-বিধান বর্ণিত হয়েছে, যার মাধ্যমে সাময়িক ভাবে রাজনৈতিক অধিকারসমূহ স্থগিত করা যেতে পারে।
৫। অন্যান্য সংবিধানের তুলনায় মধ্যবর্তী অবস্থান ঃ ১৩৩টি ধারা সংবলিত সংবিধান বেশ দীর্ঘ এবং জটিল মার্কিন সংবিধানের তুলনায়। তবে এটি ভারতীয় সংবিধানের (১৯৫০) চেয়ে ছােট যার রয়েছে ৩৯৫টি ধারা, ১০টি তালিকা (Schedule) এবং ৩টি সংযােজনী (Appendices)। নেপালের সংবিধান চীনের সংবিধানের অনুরূপ যাতে রয়েছে ১৩৮টি ধারা এভাবে দেখা যায় নেপালের সংবিধান অন্যান্য সংবিধানের তুলনায় মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে।
সাংবিধানিক রাজতন্ত্র এবং ১৯৯০ সালের সংবিধানের অধীনে রাজার অবস্থান।
Constitutional Monarchy and Kings Position under the Constitution of 1990
ভারতের সংবিধান তৈরিতে উপনিবেশবাদকে পরিবর্তন করে এবং এর মূলে কুঠারাঘাত করে এক অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রচেষ্টা চালানাে হয়। কিন্তু নেপালের সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে যা গুরুত্ব লাভ করে তা হলাে কোন এক প্রকার অভ্যন্তরীণ শাসনামলের পরিবর্তে অপর এক গণতান্ত্রিক শাসনামলের প্রতিষ্ঠা। নেপাল সংবিধান ভারতীয় সংবিধানের অনুরূপ নয়। এমনকি এটি চীনের সংবিধানের মতও নয় বা অপর কোন দেশের মূল সংবিধানের মতও নয়। এ সংবিধান প্রণয়নের একজন কমিউনিস্ট সদস্য অভিমত প্রকাশ করেন যে, যুদ্ধোত্তর জাপানের সংবিধানকে নেপালের সংবিধানের অনুরূপ বলে আখ্যায়িত করেছেন। কেননা সেখানে সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের অবস্থান ও কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেটা সম্পূর্ণরূপে যুক্তিযুক্ত নয়।
১৯৯০ সালের নতুন সংবিধানের একটি বিশেষ দিক হচ্ছে জনগণের সার্বভৌমত্ব ।যদিও ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত নেপালের সংবিধানে জনগণের সার্বভৌমত্বের উপর ততটা গুরুত্বারােপ করা হয় নি তথাপি রাজকীয় ক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে জন-সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য পূর্ববর্তী অনিয়ন্ত্রিত রাজার ক্ষমতাকে সাংবিধানিকীকরণ করা।
নতুন সংবিধানে রাজার ক্ষমতাকে আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত করা হয়েছে। রাজা নেপালি জাতীয়তা এবং নেপালি জনগণের ঐক্যের প্রতীক (Symbol of Nepalese Nationality and Unity of the People) (২৭ নং ধারা)।
১৯৯০-এর নতুন সংবিধান অনুসারে সংবিধানের রক্ষাকারী এবং তা করতে গিয়ে তিনি নেপালের জনগণের স্বার্থ ও কল্যাণের প্রতি খেয়াল রাখবেন (২৭ নং ধারা)।
এ সংবিধানে প্রতীকী কাজ ছাড়াও রাজাকে এক ধরনের বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। রাজাকে আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এমনকি তার ক্ষমতা বিচার বিভাগের ক্ষেত্রেও প্রতীকী ক্ষমতা ছাড়িয়ে যায় (৩৫ এবং ৪৪ নং ধারা)।
(ক) রাজার নির্বাহী ক্ষমতা (The Executive Power of King) ঃ নেপাল রাজ্যের নির্বাহী ক্ষমতা, সাংবিধানিক এবং সংবিধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অন্যান্য আইন সংক্রান্ত ক্ষমতা রাজা এবং তার মন্ত্রিপরিষদের (Council of Ministers) হাতে নিয়ােজিত রয়েছে (৩৫(ক) ধারা।
নেপালের আইনসভা যা পার্লামেন্ট (Parliament) নামে অভিহিত তা রাজা এবং দ্বি-কক্ষের প্রতিনিধি সভা (House of Representatives) এবং জাতীয় পরিষদ (National Assembly) সমন্বয়ে গঠিত (৪৪নং ধারা)। আপাতদৃষ্টিতে রাজা এবং দু'কক্ষের ক্ষমতা ও মর্যাদা সমরূপ মনে হলেও বাস্তবে কিন্তু রাজার ক্ষমতার উপরই প্রকৃত নিরােধ ও সীমাবদ্ধতা আরােপিত হয়েছে যার ফলে রাজা বাস্তবে হয়ে পড়েছেন নামমাত্র শাসক প্রধান। তবে বিশেষ প্রয়ােজনে মন্ত্রিসভার পরামর্শ ও সম্মতিক্রমে রাজা তার উপর অর্পিত সাংবিধানিক ক্ষমতা কার্যকর করতে পারেন। এ ধরনের উপদেশ, সম্মতি ও পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে করা যাবে [৩৫(খ) নং ধারা]। | এভাবে রাজার নির্বাহী ক্ষমতা জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতার অধীনস্থ। শুধু তাই নয় রাজার এ ক্ষমতা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সুপারিশ, উপদেশ এবং সম্মতি দ্বারা সীমিত। যদিও রাজা মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের নিয়ােগ দান করেন তথাপি তিনি তা করে থাকেন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ অনুসারে। আর প্রধানমন্ত্রী হলেন প্রতিনিধি সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা এবং তিনি সরাসরিভাবে উক্ত সভার নিকট দায়ী (৩৬ নং ধারা)। সাধারণভাবে রাজার নির্বাহী ক্ষমতাকে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সীমিত করা হয়েছে সংবিধানের ৭নং অংশে এবং সেখানে নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বশীল সরকারের উপর অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে জোর দেয়া হয়েছে। রাজী এর অতিরিক্ত কিছু করতে গেলেই তা হবে অসাংবিধানিক এবং পার্লামেন্টারি শাসনব্যবস্থা তাতে করে থমকে দাঁড়াবে।
(খ) রাজার আইনসংক্রান্ত ক্ষমতা (The Legistative Power of King)ঃ রাজার আইনসংক্রান্ত ক্ষমতা তার নির্বাহী ক্ষমতার চেয়ে জটিল। প্রথমত যদিও প্রতিনিধি সভা (House Representatives) জনগণের ভােটে নির্বাচিত হয়ে থাকে তবুও জাতীয় পরিষদে (Nation Assembly) কতিপয় সদস্য থাকেন যারা প্রতিনিধি পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত হন, আৱৰি প্রতিনিধিরা যারা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্বাচনী কলেজ দ্বারা নির্বাচিত হন এবং এমন সব সদস্য যারা রাজা স্বয়ং কর্তৃক নিয়ােগপ্রাপ্ত হন।
জাতীয় পরিষদের সদস্য সংখ্যা ৬০জন এবং তন্মধ্যে ১০জন রাজা কর্তৃক মনােনীত হবেন। ৪৬ নং ধারায় বলা হয়েছে রাজা এই ১০জন মনােনীত সদস্য হিসেবে সেসৰ ব্যক্তিদের বেছে নিবেন যারা সুউচ্চ সুনামের অধিকারী বা জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযােগ্য ভূমিকা রেখেছেন। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, স্পষ্টতই শক্তিশালী রাজকীয় প্রভাৰ আইনসভার উপর থেকেই যায়। শুধু তাই নয়, জাতীয় পরিষদের কোন বিলের উপর প্রতিনিধি পরিষদের শক্তিশালী প্রভাৰ অধিকমাত্রায় বিদ্যমান।
(গ) রাজার বিচারসংক্রান্ত ক্ষমতা (The Judicial Power of King) রাজার বিচারসংক্রান্ত ক্ষমতাও রয়েছে যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে উক্ত ক্ষমতা সংজ্ঞায়িত করা হয় নি। রাজা বিচারকদের নিয়ােগ দিতে পারেন তবে এ ক্ষেত্রে তাকে বিভিন্ন কাউন্সিলের (বিচার বিভাগীয়) সাথে পরামর্শ করে নিতে হয়। লক্ষণীয় যে, এ বিচার বিভাগীয় কউন্সিলের সদস্যগণ সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়ে থাকেন। রাজা কোন কোন সামরিক আদালত (Military Courts) । " এবং দেওয়ানি আদালতের ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত প্রদান করে থাকেন। উপরন্ত তিনি অপর যে কোন স্বাধীন বিচারালয়ের সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দিতে পারেন।
বাজা যে কোন অপরাধীকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। যে কোন শাস্তিপ্রাপ্ত অপরাধীর শান্তি স্থগিত, হস বা মওকুফ করে দিতে পারেন। বিশেষ আদালত, সামরিক আদালত বা অন্য যে কোন অর্ধবিচারসংক্রান্ত বা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের বিচারের রায় রাজার এ ক্ষমতার আওতাভুক্ত।
রাজার সর্বাধিক স্পষ্ট এবং হ্রাসপ্রাপ্ত ক্ষমতার মধ্যে যে ক্ষমতাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখা হয়েছে তা হচ্ছে তার অবারিতভাবে আইনের উর্ধ্বে থাকা। সংবিধানের ৩১ নং ধারায় বলা হয়েছে, “রাজার কোন কর্মকাণ্ডকে কোন আদালতেই প্রশ্নসাপেক্ষ করা যাবে না।" (No question shall be raised in any court about any act performed by His Majesty.) EN 69, রাজাই শুধু এ সুযােগ ভােগ করে থাকেন তা নয়। অন্যান্য মন্ত্রিবর্গ, পার্লামেন্ট সদস্যবৃন্দ এবং কিছু কিছু সরকারি অফিস এবং কমিশনের ক্ষেত্রেও সুযােগ প্রযােজ্য।
(ঘ) রাজার জরুরিবিষয়ক ক্ষমতা (The Emergency Power of King) রাজার অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা হচ্ছে তার জরুরিবিষয়ক ক্ষমতা। রাজা যদি মনে করেন যে, রাজ্যের সার্বভৌমত্ব ও সংহতি বা নিরাপত্তা হুমকির মুখে বা রাজ্যের কোন অংশ যুদ্ধ বা বহিঃশত্রুর আক্রমণ বা দারুণ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন, তখন তিনি এক ঘােষণার মাধ্যমে জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন। জরুরি অবস্থা জারির পর রাজা প্রয়ােজনীয় আদেশ-নির্দেশ জারি করতে পারেন। এসব আদেশ-নির্দেশ আইনের মতই জরুরি অবস্থা যতদিন অব্যাহত থাকবে ততদিন যথারীতি বলবৎ হবে (১১৫ নং ধারা)।
The Features of the Constitution of 1990 of Nepal: Below are some of the features of the new constitution of Nepal in 1990:
1. The preamble to the new constitution states:
("Whereas we are convinced that in the independent, sovereign Nepal, the source of authority inherent in the people and therefore, have from time to time, made known our desire to conduct the government of the country in consonance with the popular will; Now therefore, keeping in view the desire of the people that the state authority and sovereign powers shall, after the commencement of this constitution, be exercised in accordance with the provisions of this constitution, I, King Birendra Bir Bikram Shah Deva, by virtue of the state authority as exercised by exact and promulgate this constitution.")
2. Complicated Constitution:
The new constitution of Nepal is a long and complex document. It has 133 steps which are divided into 23 parts. It is a constitution with 3 lists.
3. Description from Part 1 to Part 11: Part 1 to Part 4 of the new constitution (Preliminary, Citizenship, Fundamental Rights and Guiding Principles of the State) discusses the nature of the state, the nature of sovereignty, citizenship, civil rights and related policies. Parts 5 and 6 of the Constitution deal with the King (His Majesty) and the Council on Royal Affairs. Sections 7 to 11 provide a detailed discussion of the three branches of foreign affairs — the legislature, the executive branch, and the judiciary.
4. Description of the 12th part to the 16th part: From the 12th part to the 16th part of the constitution
The Investigative Commissions and the Administrative Commissions and Offices have been discussed in part. The rest of the constitution, from the 18th to the 23rd, gives a detailed description of the various institutions and issues which were not discussed in other parts. Particularly noteworthy is the 18th part in which political parties are mentioned. In addition, the 16th section describes the rules of emergency power, through which political rights can be suspended temporarily.
5. Intermediate position compared to other constitutions: The 133-article constitution is much longer and more complex than the US constitution. However, it is shorter than the Indian Constitution (1950) which has 395 articles, 10 Schedules and 3 Appendices. The Constitution of Nepal is similar to the Constitution of China in that there are 136 articles. Thus, the Constitution of Nepal is in the middle position compared to other constitutions.
The Nepal Constitution of 1990 is not a clone of the Indian Constitution, nor is it like any of its neighboring states. This constitution has established a different kind of state system. Nepal is a constitutional monarchy. It is not a republic whose head of state is an elected head of state.
Attempts were made to introduce an internal democratic system by changing the constitution of India and axing its roots. But what is important in drafting the constitution of Nepal is the establishment of another democratic regime instead of one type of internal government. The Constitution of Nepal is not similar to the Constitution of India. It is not even like the constitution of China or the original constitution of any other country. A communist member of the drafting of this constitution expressed the opinion that the constitution of post-war Japan was similar to the constitution of Nepal. Because the position and activities of the constitutional monarchy can be noticed there. But even then it is not entirely reasonable.One of the special aspects of the new constitution of 1990 is the sovereignty of the people. The purpose is to legitimize the power of the previous uncontrolled king.
The new constitution has formalized the power of the king. The King is a symbol of Nepali nationality and the unity of the Nepalese people (Symbol of Nepalese Nationality and Unity of the People) (Article 26).
According to the new constitution of 1990, he is the guardian of the constitution and in doing so he will look after the interests and welfare of the people of Nepal (Article 26).
Apart from symbolic work, the king has been given a special status in this constitution. The king is considered part of the law department and the administration department. Even its power exceeds its symbolic power in the case of the judiciary (Articles 35 and 44).
(A) The Executive Power of the King: The executive power of the State of Nepal, constitutional and other laws in accordance with the Constitution are vested in the King and his Council of Ministers (Article 35 (a).
The Legislative Assembly of Nepal, also known as the Parliament, consists of the King and the two-chamber House of Representatives and the National Assembly (Article 44). Apparently, the power and dignity of the king and the two chambers seem to be the same, but in reality, there is a real restriction and limitation on the power of the king, as a result of which the king has become a nominal ruler. However, in special cases, the king may, with the advice and consent of the cabinet, exercise the constitutional powers conferred on him. Such advice, consent and advice may be given with the permission of the Prime Minister [Article 35 (b)]. | Thus the executive power of the king is subordinate to the sovereign power of the people. Not only that, the power of the king is limited by the recommendation, advice and consent of the elected representatives of the people. Although the king appoints members of the cabinet, he does so only on the recommendation of the prime minister. The Prime Minister is the leader of the majority party in the House of Representatives and he is directly accountable to the House (Article 37). In general, the executive power of the king is very carefully limited in Article 7 of the Constitution and there is a very clear emphasis on the elected representative government. Anything more than that will be agreed upon will be unconstitutional and the parliamentary system will come to a standstill.
(B) The Legistative Power of the King:
The legal power of the king is more complex than his executive power. In the first place, although the House of Representatives is elected by the people, there are some members of the Nation Assembly who are elected by the House of Representatives, and others are elected by the Electoral College by the local authorities and all the members appointed by the King himself. Be.
The number of members of the National Assembly is 60 and 10 of them will be nominated by the King. Article 48 states that the King shall select Cesar as one of the 10 nominees who have a high reputation or have played a significant role in various aspects of national life. Thus, it is clear that strong royal power rests with the legislature. Not only that, the strong influence of the House of Representatives exists on any bill of the National Assembly.
(C) The Judicial Power of the King
The king also has judicial power, although that power has not been formally defined. The king can appoint judges, but in this case he has to consult with various councils (judicial). It is noteworthy that the members of this Judicial Council change with the change of government. The king has some military courts. "And he also gives decisions in the case of civil courts. In addition, he can overturn the decisions of any other independent court.
Baja can forgive any criminal. The peace of any convicted criminal can be suspended, laughed at or pardoned. Judgments of special courts, military courts or any other quasi-judicial or administrative authority or institution fall under the jurisdiction of the King.
One of the most obvious and diminished powers of the king that has been kept out of reach is his unwavering supremacy. Article 31 of the Constitution states, "No action of the king can be questioned in any court." (No question shall be raised in any court about any act performed by His Majesty.) EN 69 Opportunities also apply to other ministers, members of parliament and some government offices and commissions.
(D) The Emergency Power of the King Another important power of the king is his emergency power. If the king thinks that the sovereignty and unity or security of the state is under threat or any part of the state is facing war or external enemy attack or great economic catastrophe, then he can declare a state of emergency through a declaration. After the state of emergency has been declared, the king may issue necessary orders. These orders and directives, like the law, will remain in force as long as the state of emergency continues (Section 115).
0 Comments