লোক প্রশাসন ও বেসরকারী প্রশাসনের মধ্যে পার্থক্যসমূহ আলোচনা কর

সরকারি ও বেসরকারি প্রশাসনের মধ্যে পার্থক্যঃ-



Dissimilarities Between Public Administration and Private Administration সরকারি ও বেসরকারি প্রশাসনের মধ্যে কতিপয় সাদশ্য লক্ষ্য করা গেলেও উভয় প্রশাসনের মধ্যে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। তবে এই পার্থক্য তাদের পৃথক প্রকরণের চেয়ে পরিমাপক (Most often these are differences in degree rather than in kind). মূলত উভয় প্রশাসনের মধ্যকার বৈসাদৃশ্য নির্ণয়ের ক্ষেত্রে তাদের প্রকৃতি, পরিধি, দৃষ্টিভঙ্গি, ফলাফল, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, প্রশাসনিক কার্যাবলির ধরন প্রতি বিবেচনা করা হয়। Harvey Sherman এর মন্তব্য, "The line between public and private administration is so blurred that it is possible to tell where government leaves off and private business begins."
নিম্নে পার্থক্যগুলাে উপস্থাপন করা হলাে : 

ক, জনকল্যাণ সম্পর্কিত  সামগ্রিক জনকল্যাণকে সামনে রেখে লােক প্রশাসনের কার্যক্রম পরিব্যপ্ত (Service motive)। পক্ষান্তরে, বেসরকারি প্রশাসনের কার্যক্রম মুনাফাকেন্দ্রিক (Profit motive)। লােক প্রশাসনের কোন  প্রতিষ্ঠানে অস্তিত্ব পরিমাপ করা মুনাফা অর্জনের দ্বারা। এটি বাজার দর (Market price) দ্বারা প্রভাবিত হয় না। আথিক সংকটের কারণে সরকারি কোন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় না, কোন প্রকল্প স্থগিত রাখা হয় না। যেমন- সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরে ভর্তুকি দিয়ে জনগণের সাশ্রয়ে চাহিদা মিটানাের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কোন ধরনের ঝুঁকি নিতে পারে না। তাদের অস্তিত্ব বাজারে মুনাফার দরকষাকষির উপর নির্ভর করে।
 Peter self এর মন্তব্য, "In physics efficiency refers to a maximization of work achieved for a minimum of imput of energy. In economics, the notion is one of optimizations for example, obtuining maximum satisfaction for given outlay of resources. "

খ, আইনগত ভিত্তি  যদিও সরকারি ও বেসরকারি উভয় প্রকার প্রশাসনিক কার্যক্রমের ভিত্তি একটি আইনগত প্রক্রিয়ার অধীন তথাপি লােক প্রশাসনের আইনের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার বিশ্লেষণ করা হয়। এখানে আদালতে জবাবদিহি করতে হয়।
সরকারি প্রশাসন একটি কার্যকরী নির্দেশনার (Executive order) মাধ্যমে পরিচালিত হয় কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একটি বিধিবদ্ধ চার্টারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সরকারি কর্মচারীকে সংশ্লিষ্ট আইন অনুসরণ করা অপরিহার্য, যেটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিথিলযােগ্য। যেমন- কোনকিছু ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি প্রশাসনের বেশকিছু নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। যথা টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয় করতে হয় কিন্তু বেসরকারি প্রশাসনে এটা অনুসরণীয় নয়। পছন্দমতাে জিনিস ব্যক্তিগত উদ্যোগেই ক্রয় করা যায়।

গ. রাজনৈতিক নির্দেশনা লােক প্রশাসন সামগ্রিকভাবে একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার (Political process) অংশ। এদিক থেকে বেসরকারি প্রশাসন অরাজনৈতিক (Non-political) সরকারি প্রশাসনে সামগ্রিক কার্যাবলি রাজনৈতিক নির্দেশনার (Political direction) এর অধীনে পরিব্যপ্ত। নীতি প্রণয়ন (Policy making), অনুমােদন (Approved) এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ (Decision making) করে থাকেন রাজনৈতিক প্রশাসন। যথা : রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীবর্গ আইন পরিষদ সদস্যও নীতি বাস্তবায়ন করে থাকেন আমলাগণ (Bureaucrats)। সরকারি প্রশাসনে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী এখানে আইন অমান্যকারীকে শাস্তি প্রদান করার এখতিয়ার রয়েছে। পক্ষান্তরে, বেসরকারি প্রশাসনের কোন প্রকার রাজনৈতিক প্রভাব নেই বললেই চলে। এখানে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের নিকট হতে যাবতীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। তাই তাদের প্রণীত আইন-কানুন ও নির্দেশাবলি মেনে চলার জন্য জনসাধারণের উপর চাপ প্রয়ােগ করতে পারে না। তবে জরুরি অবস্থায় বেসরকারি প্রশাসনেও কতিপয় রাজনৈতিক নির্দেশনা পরিলক্ষিত হয়। 

ঘ, আমলতান্ত্রিক দৃষ্টিকোণ  সরকারি প্রশাসনকে আমলতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা (Bureaucratic management) হিসেবে গণ্য করা হয়। অন্যদিকে, বেসরকারি প্রশাসনকে বেসরকারি আমলাতন্ত্র (Non-Government Bureaucracy) হিসেবে গণ্য করা হয়। আমলতান্ত্রিক প্রক্রিয়াও নিয়ম-কানুন সহজে পরিবর্তন, পরিমার্জন ও পরিহারযােগ্য নয়। এখানে নিরপেক্ষতা (Impertiality) নির্দলীয় (Neutrality), নাম বিহীনতা (Anonymity) প্রভৃতি বিরাজমান। কিন্তু বেসরকারি প্রশাসনে এগুলাে অনুপস্থিত এবং পরিবেশ পরিস্থিতিতে খুব সহজেই কর্মোপযুগী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। মেধাভিত্তিক নিয়ােগ পদ্ধতি, আইনের প্রতি আনুগত্য, পদসােপান, বিশেষীকরণ, শ্রম বিভাজন, নির্দিষ্ট কার্যকাল ও বেতন প্রভৃতি আমলাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য, যা সরকারি প্রশাসনে বিদ্যমান। কিন্তু বেসরকারি প্রশাসনে এগুলাে বিদ্যমান নয়।

ঙ, কর্মপরিসর  বলা হচ্ছে PA is oversized. রাষ্ট্রীয় কার্যাবলি বৃদ্ধির সাথে সাথে সরকারি প্রশাসনের সীমানা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কল্যাণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থার ধারণার সাথে সমঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রীয় কর্মপরিধি ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। যার ফলে : সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের (Non-Government organization NGO) এর প্রসঙ্গটি চলে আসছে। পক্ষান্তরে, ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রশাসনের পরিধি অপেক্ষাকৃত সীমিত। তারা একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে সীমিত পরিসরে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

চ, অপরিহার্য কার্যক্রম পরিচালনা  দেশের ক্রান্তিলগ্নে সরকারি প্রশাসন জরুরি সমস্যাবলি সমাধানে এগিয়ে আসে। দেশের নাগরিকের জন্য অপরিহার্য বিষয়গুলাে যেমন- আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা, দেশ রক্ষা করা, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিশ্চিত করা, শিক্ষা হার বৃদ্ধি করা, জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা প্রভৃতি নিশ্চিতকল্পে লােক প্রশাসন অত্যন্ত তৎপর। সমাজতান্ত্রিক ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে লােক প্রশাসনের কার্যক্রম আরাে ব্যাপক। কিন্তু বেসরকারি প্রশাসনের ক্ষেত্রে এগুলাে অপরিহার্য বিষয় নয়। তাদের পরিধি সীমিত এবং একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে ঘিরে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

ছ, প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন  দেশের সার্বিক উন্নয়নকল্পে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করে থাকে সরকারি প্রশাসন। আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করে থাকে সরকারি প্রশাসন। এ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যদি ক্ষতির সম্মুখীন হয় তবুও তা বন্ধ করা হয় না। জনকল্যাণ নিশ্চিতকল্পে তা বাস্তবায়ন করা হয়। কিন্তু বেসরকারি প্রশাসন এ ধরনের উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ ও তার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঝুঁকি গ্রহণ করে না। তারা সর্বোচ্চ লাভ (Profit maximization) এর বিষয়টি প্রাধান্য দেয়।

জ, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা  সরকারি প্রশাসনে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে জনগণের নিকট দায়বদ্ধ (Responsible to the people) থাকতে হয়। সরকারি কর্মচারীগণ তাদের কার্যক্রমের জন্য জনগণের নিকট জবাবদিহি (Answerable to the public) করতে বাধ্য থাকেন। জনস্বার্থকে নিশ্চিত করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। আইনসভা, রাজনৈতিক দল, চাপ সৃষ্টিকারী গােষ্ঠী প্রভৃতির মাধ্যমে সরকারি প্রশাসন নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাদেরকে জনগণের সমালােচনার সম্মুখীন হতে হয়। কাজের ত্রুটি হলে অথবা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হলে শাস্তি বিধানের জন্য প্রত্যেক প্রশাসনের বিধিবদ্ধ আইন রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গৃহীত দুর্নীতি বিরােধী পদক্ষেপ বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। ইংল্যান্ডে মন্ত্রিপরিষদ পার্লামেন্টের প্রতিনিধির কাছে প্রশাসন সংক্রান্ত বিষয়ে সম্পূর্ণ দায়ী থাকেন। বাংলাদেশে Administrative Tribunal থাকলেও তা যথাযথরূপে কার্যকরী নয়। পক্ষান্তরে, বেসরকারি প্রশাসনকে জনগণের নিকট দায়বদ্ধ থাকতে হয় না। বেসরকারি প্রশাসনে জনগণের সম্পৃক্ততা ও সুসম্পর্ক অনুপস্থিত।  বেসরকারি প্রশাসনে প্রশাসন কর্তৃপক্ষ সামাজিক ও আর্থিক পদমর্যাদা ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সুবিধা রক্ষা করতে পারে।

ঝ. পদমর্যদা  প্রত্যেক সরকারি প্রশাসককের একটি নির্দিষ্ট দাপ্তরিক পদমর্যাদা (Official status) রয়েছে। তবে তারা তাদের পদমর্যাদা সামাজিক কোন কার্যক্রমে সযােগ হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে না। ব্যক্তিগত পদমযাদা ব্যবহার করে স্বার্থরক্ষা রীতিমতাে গর্হিত ও শাস্তিযােগ্য অপরাধ। পক্ষান্তরে, বেসরকারি প্রশাসনে প্রশাসন কর্তৃপক্ষ সামাজিক ও আর্থিক পদমর্যাদা ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সুবিধা রক্ষা করতে পারে।

ঞ. কর্মের প্রকৃতি  সরকারি প্রশাসনের কর্মের প্রকতি (Nature of functions) অত্যন্ত জটিল ও ভিন্ন প্রকৃতির সরকারি প্রশাসনের কর্মের পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক। এখানে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণসহ যাবতীয় জনকল্যাণমূলক কার্য সম্পন্ন করা হয়। যেমন- ডাক বিভাগ, হাসপাতাল সেবা, পরিবহন সুবিধা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সুবিধা ইত্যাদি। কিন্তু বেসরকারি প্রাতিষ্ঠানের এ ধরনের কাজের জন্য জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা নেই। রাষ্ট্রীয় কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততা উল্লেখযােগ্য নয়।

ট, অর্থসংক্রান্ত বিষয় সরকারি প্রশাসনে অর্থ আয়-ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। এখানে প্রশাসন অর্থসংস্থান ও নিয়ন্ত্রণ করে না। সরকারি কর্মকর্তা আইনসভা থেকে পাস না হওয়া পর্যন্ত কোন অথ ব্যয়ের এখতিয়ার রাখে না। এখানে সরকার আগে ব্যয় নির্ধারণ করে পরে আয়ের ব্যবস্থা করে থাকে। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ হলে জনগণের কাছ থেকে অতিরিক্ত আদায় করা হয় না। কিন্তু বেসরকারি প্রশাসনে আগে আয় নির্ধারণ করা হয়। এখানে অতিরিক্ত অর্থ জনগণের কাছ থেকে আদায় করা হয়। তাছাড়া তাদের খরচের ব্যাপারে কারাে কাছে দায়বদ্ধ নয়। অথচ সরকারি প্রশাসনে বিভিন্ন কমিটির মাধ্যমে এ দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা হয়। যেমন- পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটি। পাবলিক এমিউরেন্স কমিটি, কমিটি অন পাবলিক আন্ডারটেকির পাবলিক একাউন্টস কমিটি ইত্যাদি।

ঠ, একচেটিয়া অধিকার  সরকারি প্রশাসনে সরকার ক্ষেত্রবিশেষ একচেটিয়া অধিকার বা স্বত্ব প্রয়ােগ করে থাকে। যেমন- গ্যাস, বিদ্যুৎ, রেলপথ, ডাক বিভাগ, পানি ও জ্বালানি উন্নয়ন সংস্থা। এখানে তার প্রতিযােগী না থাকায় একচ্ছত্র কর্তৃত্ব বজায় রেখে থাকে। কিন্তু বেসরকারি প্রশাসনে এ ধরনের একচেটিয়া কারবারের কোন সুযােগ নেই। তাদের প্রতিযােগিতাপূর্ণ বাজারে টিকে থাকতে হয়। উত্তম সুবিধা (Better service) নিশ্চিত করার উপর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বাজারে টিকে থাকা নিশ্চিত করে। | ড. কর্মদক্ষতা ও সামাজিক মূল্যবােধ ও কর্মদক্ষতার ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অনেকাংশে এগিয়ে রয়েছে। কারণ সরকারি প্রশাসনের নিয়ােগ পদ্ধতি ও প্রশিক্ষণ সন্তোষজনক নয়। স্বজনপ্রীতি (Nepolism), আমলাতান্ত্রিক দৌরাত্ম (Red Tapism) সরকারি প্রশাসনে প্রচলিত বিষয়। তাছাড়া প্রশাসনিক দুর্নীতি আরাে জটিল ও ঘােলাটে করে তুলেছে। কিন্তু বেসরকারি প্রশাসনে এ ধরনের সুযোেগ কম থাকায় দক্ষতা ও যােগ্যতাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতির ক্ষেত্রে তারা বেসরকারি প্রশাসনের তুলনায় ভালাে অবস্থানে রয়েছে। 

ঢ, জনসংযােগের ক্ষেত্রে  সরকারি প্রশাসনের জনসংযােগ (Public Relation) বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বেসরকারি প্রশাসনে জনসংযােগ করা হয় মূলত তাদের পণ্যের গুণগত আকর্ষণ দ্বারা। এখানে প্রতিযােগিতাপূর্ণ বাজারে টিকে থাকার মাধ্যমে ক্রেতার আকর্ষণ করা হয়। এখানে জনগণকে ক্রেতা হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু সরকারি প্রশাসনে জনসংযােগ ঘটানাে হয় জনগণের সম্পৃক্ততার (Peoples participation) মাধ্যমে। এখানে জনগণকে ভােক্তার সাথে তুলনা করে জনগণের চাহিদা পূরণের চেষ্টা করা হয়।

পরিশেষে বলা যায় যে, সরকারি ও বেসরকারি প্রশাসনের মাধ্যমে মূলত পার্থক্য উভয়ের প্রকৃতি, পরিধি, কর্ম প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রভৃতির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতিতে বর্তমানে এই পার্থক্য ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। তারপর বলা যায় উভয় প্রশাসনে একটি নদীর ভিন্ন দু’টি গতিপথ মাত্র যাদের গতিশীলতাও স্রোতস্বিনী। বিদ্যমান প্রফেসর ওয়ান্ডাে (Prof. Waldo) এর মন্তব্য, "The generalization which distinguish public administration from private administration by special care for equality of treatment legal authorization of and responsibility of action, public justification or justifiability of dictions, financial probity and meticulousness and so forth are of very limited applicability.us

Post a Comment

Previous Post Next Post