Hot Posts

6/recent/ticker-posts

বাংলাদেশের বিচারবিভাগ

সংবিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগের অবস্থান ও গুরুত্ব।

ন্যায়বিচারের মানদন্ডকে সমুন্নত রেখে নিরপেক্ষ বিচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিচার বিভাগ নাগরিক অধিকার, শাসক ও শাসিতের সুস্পৰ্ককে সংহত ও শক্তিশালী করে। লর্ড ব্রাইস বলেছেন, “কোন জাতির রাজনৈতিক সভ্যতা কোন ভরে রয়েছে তা নির্নয় সম্ভব যখন বিচার বিভাগের দক্ষতাই সরকারের শাসন ক্ষমতার দক্ষতা ও যােগ্যতার মানদন্ড হিসাবে প্রতিষ্ঠিত থাকে। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পর্কে এ উক্তিটি কতটুকু প্রযােজ্য তা বিশ্লেষণের অপেক্ষা রাখে। সংবিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগের মর্যাদা ও অবস্থান অত্যন্ত মর্যাদাশীল। বিচারকার্য ছাড়াও বাংলাদেশে বিচার বিভাগের উপর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়েছে। সংবিধানকে দেশের সর্বোচ্চ আইন বলা হয়েছে এবং সংবিধান সমর্থিত নয় অথবা সংবিধানের বিধি বহির্ভূত যে কোন আইন বাতিলযােগ্য। এক্ষেত্রে সুপ্রীমকোর্টকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সংবিধানের ২৬ অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দানের জন্য বলা হয়েছে যে, সংবিধানের বিধানাবলির সাথে অসামঞ্জস্য প্রচলিত সকল আইন বাতিল বলে গণ্য হবে। তাছাড়া ১০৬ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সম্পর্কে সুপ্রীমকোর্টের মতামত নেওয়া প্রয়ােজন হলে উক্ত বিষয়ে মতামতের জন্য রাষ্ট্রপতি সুপ্রীমকোর্টের পরামর্শ চাইতে পারেন। আবার ১১২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানার অন্তর্ভুক্ত সকল নির্বাহী ও বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ সুপ্রীমকোর্টের সহায়তা লাভ করবেন। সংবিধানের বিভিন্ন ধারায় নাগরিক অধিকার রক্ষা, জনগুরুত্ব সম্পন্ন প্রশ্নের মীমাংসা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সুপ্রীমকোর্টের প্রাধান্য স্বীকার করা হয়েছে এবং সাংবিধানিক মর্যাদা দান করা হয়েছে।

বাংলাদেশের বিচার বিভাগের বৈশিষ্ট্য

বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সুপ্রীমকোর্ট, অধঃস্তন আদালত ও প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল নিয়ে গঠিত। বাংলাদেশের বিচার বিভাগের উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্যগুলাে হচ্ছে :

১। স্তরভিত্তিক কাঠামাে : বিচার বিভাগ কাঠামােগতভাবে স্তরভিত্তিক। বিচার বিভাগের শীর্ষে রয়েছে সুপ্রীম কোর্ট এবং সর্বনিম্ন ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় সালিসী।

২। একই আদালতে বিচার সম্পন্ন : একই আদালতে ফৌজদারী ও দেওয়ানী কার্যবিধির বিচার বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। একই আদালতে বিশেষ করে উচ্চ স্তরে ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলার বিচার সম্পন্ন হয়।

৩। ক্ষমতা একত্রীকরণ : বিচার ব্যবস্থায় ক্ষমতার একত্রীকরণ একটি উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য। যেমন জেলার ডেপুটি কমিশনার জেলার শাসনকার্য পরিচালনা করেন, রাজস্ব আদায় দেখেন এবং প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বিচারকার্য পরিচালনা করেন। এর অর্থ বিচার বিভাগ শাসণ বিভাগ থেকে পৃথক নয়।

৪। অধস্তন আদালতে শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের একত্রীকরণ ঃ জেলা ও উপজেলায় অধিকাংশ বিচারক দেশের প্রশাসকবৃন্দ। তারাই বিচারকার্য বহুলাংশে সম্পাদন করেন।

৫। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল : সংবিধানের ১১৭ অনুচ্ছেদে সরকারি কর্মচারী ও রাষ্ট্রায়ত্ত সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়াদি পর্যালােচনার জন্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল গঠনও বিচার বিভাগের একটি বৈশিষ্ট্য।

৬।বিচার বিভাগীয় পর্যালােচনা মৌলিক অধিকার প্রশ্নে সুপ্রীমকোর্টে পর্যালােচনা হয়। মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হলে সুপ্রীম কোর্ট কোন ব্যক্তি বা সংস্থা বা সরকারকে সে সম্পর্কে নির্দেশ দিতে পারে।

সুপ্রীম কোর্টের গঠন


সুপ্রীম কোর্ট বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রীমকোর্ট দুটি বিভাগ নিয়ে গঠিত। যেমন: (ক) আপীল বিভাগ ও (খ) হাইকোর্ট বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এবং উভয় বিভাগের আসন গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক বিচারক সমন্বয়ে সুপ্রীম কোর্ট গঠিত। প্রধান বিচারপতি ও আপীল বিভাগে নিযুক্ত বিচারকগণ আপীল বিভাগে আসন গ্রহণ করেন। অন্যান্য বিচারকগণ হাইকোর্ট বিভাগে আসন গ্রহণ করেন। তাঁরা বিচারকার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে তত্ত্বগতভাবে স্বাধীন। রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতিকে নিযুক্ত করেন। রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারকদেরও নিয়ােগ করেন।

রাজধানীতে সুপ্রীম কোর্টের স্থায়ী আসন থাকবে। তবে রাষ্ট্রপতির অনুমােদনক্রমে প্রধান বিচারপতি যে কোনাে স্থানে সুপ্রীমকোর্টের অধিবেশন অনুষ্ঠান করতে পারবেন।

প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগে নিযুক্ত বিচারকদের নিয়ে আপিল বিভাগ গঠিত হবে এবং অন্যান্য বিচারকদের নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগ এবং স্থায়ী বেঞ্চ গঠিত হবে।

সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ কোন কারণে শূন্য হলে আপীল বিভাগের প্রবীনতম বিচারক অস্থায়ী ভাবে প্রধান বিচারপতির কার্যভার গ্রহণ করবেন।

সুপ্রীমকোর্টের কার্যাবলি

সুপ্রীমকোর্টের ক্ষমতা ও কার্যাবলির বিবরণ দিতে হলে অবশ্যই হাইকোর্ট বিভাগের এখতিয়ার এবং আপীল বিভাগের এখতিয়ার উভয়ই পর্যালােচনা করতে হবে।


হাইকোর্ট বিভাগের এখতিয়ার

হাইকোর্ট বিভাগের এখতিয়ার : সংবিধানের ১০১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংবিধান বা আইনের নির্ধারক সাপেক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের (১) আদি এখতিয়ার (২) আপীল এখতিয়ার ও (৩) অন্যান্য এখতিয়ার থাকবে।

(১) আদি ও আপীল এখতিয়ার

সংবিধানে প্রদত্ত মৌলিক অধিকার বলবৎ করবার দায়িত্ব হাইকোর্ট বিভাগের উপর ন্যস্ত।

ক) মৌলিক অধিকার বলবৎ করবার ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগ নিষেধাজ্ঞা', ‘পরমাদেশ’, ‘বন্দী প্রত্যঙ্গীকরণ ইত্যাদি ধরনের আদেশ বা নির্দেশ দিতে পারবে।

খ) কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদনক্রমে হাইকোর্ট বিভাগ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষের কোন কাজ করা হতে বিরত রাখতে অথবা করণীয় কাজ করবার জন্য আদেশ বা নির্দেশ দান করতে পারবেন।

গ) কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদনক্রমে হাইকোর্ট বিভাগ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বিষয়াবলির সঙ্গে জড়িত কোন ব্যক্তির কার্যধারাকে আইনসংগত বা আইনগত কার্যকারিতা নেই বলে ঘােষণা করতে পারবেন।

ঘ) হাইকোর্ট বিভাগ কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে বেআইনী আটক ব্যক্তিকে হাজির করবার নির্দেশ দিতে পারেন এবং কোন ব্যক্তি কোন কর্তৃত্ববলে কোন পদমর্যাদায় আসীন রয়েছেন তার প্রমাণ প্রদর্শনের নির্দেশ প্রদান করতে পারবেন। ঙ) যদি হাইকোর্ট বিভাগ মনে করে যে, অধীনস্থ কোন আদালতের মােকাদ্দমায় সংবিধানের ব্যাখ্যাজনিত আইনের জটিল প্রশ্ন ও জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় জড়িত আছে, তাহলে উক্ত মামলাটি তুলে হাইকোর্ট বিভাগ নিজেই মীমাংসা করতে পারবেন।


(২) অন্যান্য এখতিয়ার

হাইকোর্ট বিভাগ অধস্তন সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালের উপর তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা পরিচালনা করবেন এবং সকল অধস্তন আদালতের জন্য কার্যবিধি প্রণয়ণ করবেন।

আপীল বিভাগের এখতিয়ার।

সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের ক) আপীল এখতিয়ার, খ) উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার এবং গ) অন্যান্য এখতিয়ার আছে।


ক) আপীল এখতিয়ার

হাইকোর্ট বিভাগের রায়, ডিক্রী, আদেশ বা দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল, শুনানী ও নিষ্পত্তির অধিকার আপীল বিভাগের আছে। যে সমস্ত বিষয়ে আপীল বিভাগ আপীল গ্রহণ করে সেগুলাে হচ্ছে :

  • যদি হাইকোর্ট বিভাগ এই মর্মে সার্টিফিকেট দান করে যে, মামলাটির সঙ্গে সংবিধানের ব্যাখ্যাজনিত গুরুত্বপূর্ণ আইনের প্রশ্ন জড়িত আছে;
  • যদি হাইকোর্ট বিভাগ কোন ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড কিংবা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করেন;
  •  যদি হাইকোর্ট বিভাগ নিজের অবমাননার জন্য কোন ব্যক্তিকে দন্ডদান করেন।

খ) উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার

আপীল বিভাগের উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার আছে। যদি রাষ্ট্রপতি মনে করেন যে, আইনজনিত কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সম্পর্কে সুপ্রীম কোর্টের অভিমত নেওয়ার প্রয়ােজন, তা হলে তিনি প্রশ্নটি আপীল বিভাগের নিকট প্রেরণ করতে পারেন।

গ) পরােয়ানা জারীর ক্ষমতা

ন্যায়বিচারের জন্য প্রয়ােজন হলে আপীল বিভাগ কোন ব্যক্তিকে বিচার আদালতের সম্মুখে হাজির হওয়ার এবং কোন দলিল পত্র দাখিল করবার নিমিত্তে আদেশ বা রীট জারি করতে পারেন।

ঘ) বিধি প্রণয়ন ক্ষমতা।

সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন সাপেক্ষে আপীল বিভাগ রাষ্ট্রপতির অনুমতিক্রমে হাইকোর্ট বিভাগ ও আপীল বিভাগের জন্য এবং অধস্তন আদালতের রীতি ও পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিধি প্রণয়ন করতে পারবেন।


সুপ্রীমকোর্টের অন্যান্য ক্ষমতা


১। সুপ্রীম কোর্টের বিধি প্রণয়ন ক্ষমতা

ক) সংসদ কর্তৃক প্রণীত যে কোন আইন সাপেক্ষে সুপ্রীমকোর্ট রাষ্ট্রপতির অনুমােদন নিয়ে প্রত্যেক বিভাগের এবং অধঃস্তন যে কোন আদালতের রীতি ও পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিধিসমূহ প্রণয়ন করতে পারবেন।

খ) সুপ্রীমকোর্ট সংবিধানের ১১৩ অনুচ্ছেদের অধীন দায়িত্বগুলাের ভার উক্ত আদালতের কোন এক বিভাগকে বা একাধিক বিভাগকে অর্পণ করতে পারবে।

গ) এই অনুচ্ছেদের অধীন প্রণীত বিধিগুলাে সাপেক্ষে কোন কোন বিচারককে নিয়ে কোন বিভাগের কোন বাের্ড গঠিত হবে এবং কোন বিচারক কোন উদ্দেশ্যে আসন গ্রহণ করবেন তা প্রধান বিচারপতি নিয়ােগ করবেন।

ঘ) প্রধান বিচারপতি সুপ্রীমকোর্টের যে কোন বিভাগের প্রবীনতম বিচারককে সেই বিভাগে এই অনুচ্ছেদের (৩) দ্বারা অর্পিত যেকোন ক্ষমতা প্রয়ােগের ভার প্রদান করতে পারবেন।

২। কোর্ট অব রেকর্ড রূপে সুপ্রীম কোর্ট

সুপ্রীম কোর্ট একটি কোর্ট অব রেকর্ড হবেন এবং এর অবমাননার জন্য তদন্তের আদেশ দান বা দন্ডাদেশদানের ক্ষমতাসহ আইন সাপেক্ষে অনুরােধসহ আদালতের সকল ক্ষমতার অধিকারী থাকবেন।


৩। আদালতগুলাের উপর তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ

হাইকোর্টে বিভাগের অধস্তন সকল (আদালত ও ট্রাইবুনালের) উপর উক্ত বিভাগের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা থাকবে।

৪। সুপ্রীমকোর্টের রায়ের বাধ্যতামূলক কার্যকারিতা

আপীল বিভাগ কর্তৃক ঘােষিত আইন, হাইকোর্ট বিভাগের জন্য এবং সুপ্রীমকোর্টের যে কোন বিভাগ কর্তৃক ঘােষিত আইন অধস্তন সকল আদালতের জন্য অবশ্য পালনীয় হবে।

৫। অধস্তন আদালত থেকে হাইকোর্ট বিভাগে মামলা স্থানান্তর

ক) হাইকোর্ট বিভাগের নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে উক্ত বিভাগের কোন অধস্তন আদালতের বিচারাধীন কোন মামলায় সংবিধানের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত আইনের এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বা এমন জনগুরুত্ব সম্পন্ন বিচার জড়িত রয়েছে, সংশ্লিষ্ট মামলার মীমাংসার জন্য যার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রয়ােজন, তাহলে হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত আদালত থেকে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেবেন এবং স্বয়ং মামলাটির মীমাংসা করবেন। খ) উক্ত আইনের প্রশ্নটির নিষ্পত্তি করবেন এবং উক্ত প্রশ্ন সম্পর্কে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের নকল সমূহ যে। আদালত থেকে মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়েছিল মামলাটির মীমাংসা করতে প্রবৃত্ত হবেন।


৬। সুপ্রীমকোর্ট সংবিধানের অভিভাবক ও ব্যাখ্যাকারক

নাগরিকের মৌলিক অধিকারের উপর সংসদ যে সমস্ত বাধা নিষেধ আরােপ করতে পারে সেগুলাে যুক্তিসঙ্গত কিনা তা বিচার করার ক্ষমতা সুপ্রীমকোর্টের উপর ন্যাস্ত।

৭। সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কিংবা তার নির্দেশক্রমে অন্য কোন বিচারক সুপ্রীম কোর্টের কর্মচারীদেরকে নিযুক্ত করবেন।

Post a Comment

0 Comments