Hot Posts

6/recent/ticker-posts

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব

 


সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন মহলের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, নতুন নিয়ম অনুযায়ী চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে।


বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। তবে মহামারি করোনাসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তরুণদের একটি বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরে বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। সরকার এ প্রস্তাবের গুরুত্ব অনুধাবন করে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে বলে জানা গেছে।

যদি এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়, তবে বিপুল সংখ্যক তরুণ-তরুণী নতুনভাবে সরকারি চাকরির সুযোগ পাবেন।

চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা বাড়ছে। এ–সংক্রান্ত পর্যালোচনা কমিটি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সুপারিশ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে বয়সসীমা কত বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে, দায়িত্বশীল কেউ তা সুনির্দিষ্ট করে বলছেন না।


এরই মধ্যে একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে নারীদের জন্য তা ৩৭ বছর করার পক্ষে মত দিয়েছে কমিটি।


সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলেছে, চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা বাড়ানোর ঘোষণা সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত আসবে। এ জন্য কমিটির সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা এ বিষয়ে কিছু বলবেন না। তবে বয়সসীমা যে বাড়ছে, এটি প্রায় নিশ্চিত।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সাধারণ বয়স ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর।


চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কয়েক দফায় কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা।

আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমার বিষয়টি পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠন করে সরকার। এই কমিটির প্রধান করা হয়ে সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে, যিনি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান। কমিটির সদস্যসচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব। কমিটিতে আরও তিনজন সদস্য আছেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বয়স বৃদ্ধির দাবিতে যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গেও সম্প্রতি বসেছিল কমিটি। সেদিন কমিটির প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সেশনজট, করোনাসহ বিভিন্ন কারণে চাকরিতে প্রবেশের বিদ্যমান বয়স বাড়ানো উচিত।

Post a Comment

0 Comments