Hot Posts

6/recent/ticker-posts

ফিতরা যারা দেবেন ,যাদের যা দেওয়া যাবে, ফিতরা দিতে হয় কেন?

ফিতরা যারা দেবেন


যার ওপর সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব, তিনি নিজের পক্ষ থেকে যেমন আদায় করবেন, তেমনি নিজের অধীনদের পক্ষ থেকেও আদায় করবেন। তবে এতে জাকাতের মতো বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়। (ফাতহুল কাদির : ২/২৮১)


শরিয়তে ফিতরার পরিমাণের মাপকাঠি
ফিতরার পরিমাণ সম্পর্কে শরিয়তে দুইটি মাপকাঠি রয়েছে; তা হচ্ছে— এক. ‘এক সা’ ও ‘নিসফে সা’। খেজুর, পনির, জব ও কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে এক ‘সা’= ৩২৭০.৬০ গ্রাম (প্রায়) অর্থাৎ তিন কেজি ২৭০ গ্রামের কিছু বেশি (ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম)। দুই. আর গম দিয়ে আদায় করলে ‘নিসফে সা’= ১৬৩৫.৩১৫ গ্রাম বা ১.৬৩৫৩১৫ কেজি (প্রায়) অর্থাৎ এক কেজি ৬৩৫ গ্রামের কিছু বেশি প্রযোজ্য হবে।
নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি মূল্যের খাদ্যবস্তুকে মাপকাঠি ধরে ফিতরা আদায় করা উত্তম। কারণ সদকার ক্ষেত্রে গরিবদের প্রয়োজন পূরণ ও তাদের স্বার্থ সংরক্ষণই হলো গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্য আদায়কারীর সামর্থ্যও বিবেচনায় রাখা হয়।



ফিতরা যাদের দেওয়া যাবে

যে ব্যক্তি যে স্থানে ফিতরা আদায় করছেন, সে স্থানের গরীব মুসলমানদেরকে ফিতরা দিতে হবে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) এর হাদিস, তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) বলেন, রমজান মাসে জাকাতুল ফিতর (ফিতরা) ফরজ করেছেন গরিবদের খাদ্যস্বরূপ...”। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩৭১)
জাকাতের নিসাবের সমপরিমাণই ফিতরার নিসাব। অর্থাৎ কারো কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অতিরিক্ত হয়ে ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় বিদ্যমান থাকলে তার ওপর ফিতরা ওয়াজিব হবে। যার ওপর সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব, তিনি নিজের পক্ষ থেকে যেমন আদায় করবেন, তেমনি নিজের অধীনদের পক্ষ থেকেও আদায় করবেন। তবে এতে জাকাতের মতো বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়।



ফিতরা হিসেবে যা দেওয়া যাবে

ফিতরার পরিমাণ সম্পর্কে শরিয়তে দুইটি মাপকাঠি রয়েছে : তা হচ্ছে— ‘এক সা’ ও ‘নিসফে সা’। খেজুর, পনির, জব ও কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে এক ‘সা’= ৩২৭০.৬০ গ্রাম (প্রায়) অর্থাৎ তিন কেজি ২৭০ গ্রামের কিছু বেশি (ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম)। আর গম দিয়ে আদায় করলে ‘নিসফে সা’= ১৬৩৫.৩১৫ গ্রাম বা ১.৬৩৫৩১৫ কেজি (প্রায়) অর্থাৎ এক কেজি ৬৩৫ গ্রামের কিছু বেশি প্রযোজ্য হবে
ফিতরা হিসেবে যা দেওয়া যায়
মহানবী (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্যের মাধ্যমে সদকাতুল ফিতর আদায় করা হতো- খেজুর, কিশমিশ, জব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমাদের সময় ঈদের দিন এক সা খাদ্য দ্বারা সদকা আদায় করতাম। আর তখন আমাদের খাদ্য ছিল জব, কিশমিশ, পনির ও খেজুর।’ (বুখারি)

ফিতরা দিতে হয় কেন?

জাকাত যেমন আর্থিক ইবাদত। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরাও ঠিক তেমনি একটি আর্থিক ইবাদত। রোজা পালন করতে গিয়ে আমাদের অনেক ভুলত্রুটি হয়। তাই এসব ভুলত্রুটির কাফফারাস্বরূপ মহানবী (সা.) এ বিধান দিয়েছেন।


ফিতরা আদায় করা ইসলামি বিধান মতে ওয়াজিব। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আছে—
রাসুল (সা.) সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য করেছেন। এর পরিমাণ হলো- এক সা’ জব বা এক সা’ খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপর এটা ওয়াজিব।বুখারি শরিফ, হাদিস : ১৫১২

Post a Comment

0 Comments