Hot Posts

6/recent/ticker-posts

গাণিতিক গড়ের সুবিধা-অসুবিধা বর্ণনা কর

গাণিতিক গড়ের সুবিধা-অসুবিধা বর্ণনা কর

ভূমিকা : সামজিক পরিসংখ্যানে অন্য যে কোন গড়ের চেয়ে গাণিতিক গড়ের ব্যবহার অধিক পরিলক্ষিত হয়। সমাজস্থ উপাত্তগুলােকে সংগ্রহের পর উপাত্তের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিশ্লেষণের জন্য এবং কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের। ক্ষেত্রে একটি আদর্শ পরিমাপক হিসেবে গাণিতিক গড়ের প্রয়ােজনীয়তা অপরিসীম।







গাণিতিক গড় ব্যবহারের সুবিধা : গাণিতিক গড় ব্যবহারের সুবিধা নিয়ে আলােচনা করা হলাে : 
১. এ গড় সহজবােধ্য। সাধারণ ধারণা থাকলেই গাণিতিক গড় বুঝা যায়। 
২সঠিক মান নির্দেশ করে। 
৩. সহজে নির্ণয় করা যায়। 
৪. প্রতিটি রাশি গণনা করে এ গড় বের করা হয় বলে সমগ্র তথ্যরাশির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে। 
৫ বীজগণিতের নিময়গুলাে খুব সহজে প্রয়ােগ করা যায়। 
৬ সংগৃহীত রাশিমালাকে সারণিতে সাজানাের প্রয়ােজন হয় না। 
৭. দুই বা ততােধিক রাশিমালার বৈশিষ্ট্যের সাথে তুলনা করা যায়। 
৮, নমুনা বিচ্যুতি দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয় না। 
৯. প্রতিটি তথ্যকে এর আপেক্ষিক প্রাধান্য অনুসারে গুরুত্ব দেয়া যায়। 
১০. তথ্যসমূহের অবিন্যস্ত অবস্থা থেকেও গাণিতিক গড় বের করা যায়। 

গাণিতিক গড় ব্যবহারের অসুবিধা : গাণিতিক গড় ব্যবহারের অসুবিধা নিয়ে আলােচনা করা হলাে : 
১. প্রতিনিধিত্বমূলক নয়। তথ্যরাশির প্রান্তিক মান খুব বেশি, ঘােট অথবা বড় হলে গড়ের উপর তার প্রভাব পড়ে। 
২. রাশি তথ্যমালার পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে খুব শীঘ্র যােজিত গড়ের মান নির্ণয় করা সম্ভব হয় না।
 ৩. এ গড় অবস্থান লেখচিত্রের মাধ্যমে দেখানাে যায় না।
৪. এ গড় অনেক সময় ভ্রান্ত ধারণার সৃষ্টি করে ।
 ৫. মুক্তসীমা শ্রেণিব্যাপ্তি সংবলিত গণসংখ্যা নিবেশন থেকে এ গড় নির্ণয় করা যায় না। 
৬. গুণবাচক তথ্যের ক্ষেত্রে গাণিতিক গড় নির্ণয় করা যায় না।। 
৭. গাণিতিক গড় অবস্থান সম্পর্কিত ফলাফল দিতে পারে না। 
৮. এটি এমন একটি মান দেয়, যা ঐ নিবেশনে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।

উপসংহার : সুতরাং বলা যায় যে, বােধগম্যতা; সর্বক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগিতা, প্রতিনিধিতশীলতা, কম প্রভাবিত। হওয়া নির্ণয়ে অন্যান্য পরিমাপকের তুলনায় অনেক বেশি সুবিধাজনক। 

Post a Comment

0 Comments